আলী আহমদ স্কুল এন্ড কলেজ,ঢাকা মহানগরের খিলগাঁও থানার গোড়ান এলাকায় অবস্থিত একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির দক্ষিন পার্শ্বে গোড়ানের প্রধান সড়ক। পাঁচ তলা বিশিষ্ট L-আকৃতির সুরম্য ভবন,মোট কক্ষসংখ্যা ৫৪টি,প্রতিকক্ষের মাপ ৪৮০ (২৪র্ x২০র্) বর্গফুট এবং মোট ক্ষেত্রফল=২৫৯২০ বর্গফুট। নিজস্ব জমির পরিমাণ ৫৯ শতাংশ,প্রায় ২ বিঘা। সামনে প্রশস্ত খেলার মাঠ আছে। ৮ ফুট উঁচু প্রাচীরের পার্শ্বে সবুজ বৃক্ষরাজির ছায়া ঘেরা মনোরম পরিবেশে শিশু শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত লেখা পড়ার সুযোগ আছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান,মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ছাত্র/ছাত্রী লেখাপড়া করে। প্রতিষ্ঠানটি ২টি পর্বে পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমান ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ৩০৮৮ জন। আলাদা লাইব্রেরী আছে যার বই এর সংখ্যা ৩০০০। ৪টি গবেষণাগারে পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি ও বিজ্ঞান শিক্ষা উপকরণ আছে। কম্পিউটার ল্যাবে ১৩টি ডেক্সটপ কম্পিউটার,৩টি প্রিন্টার,১টি স্ক্যানার আছে। একটি OSP,১টি প্রজেক্টর ও মাল্টিমিডিয়া এবং ১টি ল্যাপটপ স্বল্প সময়ের মধ্যে পাওয়া যাবে। দক্ষ শিক্ষক মন্ডলী,নিয়মিত গর্ভনিং বডি ও শিক্ষার সমাগ্রিক ব্যবস্থাপনাসহ প্রতিষ্ঠানটি উন্নত শিক্ষা দানের ব্যবস্থা করছে।
আলী আহমদ স্কুল এন্ড কলেজ ১৯৭২ইং সালের ৬ই মার্চ বিশিষ্ট শিক্ষা অনুরাগী ও সমাজসেবী জনাব আলী আহমদ তৎকালীন খিলগাঁও ইউনিয়নের পূর্ব প্রান্তে অনুন্নত রাস্তাঘাট বিহীন গোড়ান একটি বর্ধিষ্ণু জনবসতি এলাকায় একখন্ড পতিত খালি জায়গায় মাসিক ২০/=(বিশ) টাকা ভাড়ায় একটি দোচালা টিনের ঘর তৈরি করে অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক স্তরে ভাই-বন্ধু শিক্ষক দ্বারা এলাকার শিশু ছেলেমেয়েদের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেন। বিদ্যালয়টি প্রাথমিক স্তরে সুষ্ঠভাবে পরিচালিত হওয়ায় ১৯৭৫ইং সালে জনাব আলী আহমদ ইহার স্থায়ী অবস্থানের জন্য (বর্তমানে অবস্থিত) ১০(দশ) কাঠা জমিন খরিদ করে নিজস্ব জায়গায় বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করেন। বর্তমানে জমির পরিমান প্রায় ২ বিঘা এবং একটি ৫(পাঁচ)তলা বিশিষ্ট বিরাট ভবন। প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করার প্রয়োজনে তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব এমরান আলী ভূঞা টিন পিটিয়ে ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে গোড়ানবাসীর এক সমাবেশ আহবান করেন। উক্ত সমাবেশে অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে মহতী কাজের উদ্যেক্তা জমিন দাতার মহান ত্যাগ,আন্তরিক প্রচেষ্টার মূল্যায়ন করে সর্বসম্মতিক্রমে বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয় ’’আলী আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়’’,গোড়ান,ঢাকা। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে ইহার সার্বিক উন্নতিকল্পে তাঁহার শ্রদ্ধেয় পিতা আলহাজ্ব মকবুল আহমদ (৪ কাঠা জমি দাতা), স্ত্রী আছিয়া খাতুন এবং ছোট ভাই নুর আহমদ সহযোগীতা করেন। ০৬/০৩/১৯৭২ তারিখ প্রতিষ্ঠানটির শুভ উদ্বোধন হয়। তৎকালিন দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় ০৭/০৩/১৯৭২ তারিখ তা প্রকাশিত হয়। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠানটিতে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী খোলা হয়। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার মান উন্নত,ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় ৩য়,৭ম,৮ম,১০ম স্থান অধিকার করে। বর্তমানে গোল্ডেন G.P.A-5 সহ বিপুল সংখ্যক ছাত্র/ছাত্রী S.S.C,H.S.C,J.S.C ও P.S.C পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়। সকল ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক শিক্ষার মান চমৎকার।
অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে উর্ত্তীণ হয়ে বহু ছাত্র/ছাত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ,বুয়েট,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও বাংলাদেশ সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারী/বেসরকারী গুরুত্বপূর্ণ পদে এবং দেশের বাইরেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত থেকে দেশ ও জনগণের সেবা করছে। প্রতিষ্ঠানটির উত্তরোত্তর উন্নতির ফলে উহা বর্তমানে বাংলাদেশের প্রথম সারির স্কুল-কলেজ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে।
১ম | ২য় | ৩য় | ৪র্থ | ৫ম | ৬ষ্ঠ | ৭ম | ৮ম | ৯ম | ১০ম | ১১ম | ১২ম |
৬৫ | ১৪২ | ১৮০ | ২৬৪ | ৩৩৩ | ৫০৫ | ৪৫৫ | ৪১০ | ৩৫০ | ৩০৬ | ৩২ | ১৭ |
পাশের হার (২০১১) | পিএসসি | জেএসসি | এসএসসি | এইচএসসি
|
৯৮.৫০% | ৯৪% | ৯১.৪০% | ৮৩% |
প্রাথমিক বৃত্তি | জুনিয়র বৃত্তি | মাধ্যমিক বৃত্তি
|
০৫ জন | ০৬ জন | ১২ জন
|
প্রাথমিক বৃত্তি | জুনিয়র বৃত্তি | মাধ্যমিক বৃত্তি
|
০৫ জন | ০৬ জন | ১২ জন
|
সকল পর্যায়ে ১০০% পাশ,G.P.A-5 এর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং আধুনিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস