রামপুরা একরামুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র রামপুরা ‘‘বাংলাদেশ টেলিভিশন’’ ভবনের বিপরীত পার্শ্বে ৪৬৩ নং পশ্চিম রামপুরায় বিদ্যালয়টির অবস্থান। ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যাপীঠের পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তর পাশে রয়েছে বনশ্রী, আফতাব নগর ও বন্ধুনিবাসের মত অভিজাত আবাসিক এলাকা।
৬৬ শতাংশ আয়তকার ভূমিতে পশ্চিমমূখী চার তলা ২টি ভবন ও উত্তরমূখী একটি পাকা ভবনে বিদ্যলয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বিদ্যালয় ভবনের কক্ষগুলোর মধ্যে ২৫টি শ্রেণীকক্ষ, ১টি শিক্ষক মিলনায়তন, ১টি অফিস কক্ষ, ১টি কম্পিউটার কক্ষ, ১টি বিজ্ঞানাগার ও ১টি প্রধান শিক্ষকের কক্ষ রয়েছে। তিন তলা ও নীচ তলায় যথাক্রমে ৫টি করে মোট ১০টি আধুনিক স্বাস্থ্য সম্মত শৌচাগার রয়েছে। বৃহদাকার, সুপ্রসস্থ্য বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ উচু সীমানা প্রাচীর বেষ্টিত যা শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ছাত্রীদের নিয়মিত সমাবেশ ও অন্যান্য সহ শিক্ষাকার্যক্রমের সময় শিক্ষার্থীদের কলকাকলিতে মাঠটি মুখরিত থাকে।
প্রধান শিক্ষক দক্ষতার সাথে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকা- পরিচালনা করে থাকেন। বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়ের হিসাবসহ সর্বপ্রকার অর্থনৈতিক কর্মকা-- রয়েছে স্বচ্ছতা। বিদ্যালয়ের প্রশাসন সর্বশ্রেণীর প্রভাবশালীদের প্রভাবমুক্ত। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ১৩০০ শিক্ষার্থীর বিদ্যাপীঠ হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সুযোগ্য প্রধান শিক্ষক, দক্ষ, অভিজ্ঞ ও তরুণ শিক্ষকদের সমন্বিত চেষ্টায় ও শ্রমে বিদ্যালয়টি সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও মিলাদ মাহফিলে অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ যোগদান করে থাকেন। এছাড়া জাতীয় দিবসগুলো যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করা হয়। বিদ্যালয়ের ফলাফল সর্বদাই সমেত্মাষজনক। পি,এস,সি, জে,এস,সি, ও সুদুর অতীত থেকে অদ্যাবধি এস, এস,সি পরীক্ষার পাশের হার শতভাগ। বিদ্যালয়ের শিক্ষা পদ্ধতি অত্যমত্ম আধুনিক ও উন্নতমানের ।
কিন্তু বিদ্যালয়ে বর্তমানে অবকাঠামোগত কিছু ঘাটতি রয়েছে। বিদ্যালয়ের সমেত্মাষজনক ফলাফল ও সুন্দর পরিবেশে আকৃষ্ট হয়ে অভিভাবকগন তাদের সমত্মানদের বেশী করে ভর্তি করাচ্ছেন যার ফলশ্রম্নতিতে বিদ্যালয়ের ছাত্রী সংখ্যা দ্রম্নত বেড়ে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ের উত্তর প্রামেত্ম সরকারের আনুকুল্যে একটি নুতন ভবন নির্মাণের অপেক্ষায় আছে।
আমেরিকা প্রবাসী, বিদ্যানুরাগী ব্যক্তিত্ব মরহুম মাজহারম্নল হক রামপুরা একলাকায় একটি বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। তিনি বিদ্যালয় স্থাপনের নিমিত্তে এলাকার সম্মানীত ও বিদ্যানুরাগী ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনা করেন। ঐসকল ব্যক্তিবর্গের মধ্যে মরহুম জনাব ইদ্রিস আলী, জনাব আফাজ উদ্দিন মাতববর, জনাব ইসমাইল মেম্বার, জনাব নিজাম উদ্দিন খাঁন, জনাব লিয়াকত আলী বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ আরও সমাজসেবীগণ বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জনাব মাজহারম্নল হককে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। স্থানীয় ভূস্বামী বাবু অবিনাশ শর্মা বিদ্যালয় স্থাপনের নিমিত্তে নামমাত্র মূল্যে জমি হসত্মামত্মর করেন।
এইভাবে সকলের অক্লামত্ম পরিশ্রমে ১৯৬৪ সালে ‘‘ রামপুর একামুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়’’ নামে বালক-বালিকা উভয়ের প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিদ্যালয়টি আত্বপ্রকাশ করে। অতীতে বিদ্যালয়ের ভূমির খুব অল্পই শ্রেণীকক্ষ তৈরীর উপযোগী ছিল, ভূমির বৃহদাংশ জুড়ে ছিল জলাশয়। ধীরে ধীরে অর্থ, শ্রম ও মেধা ব্যয়ে বিদ্যালয়ের সম্পূণ জায়গা মাটি ভরাট করে তৈরী করা হয়েছে সুরম্য অট্টালিকা। প্রাচীর সংলগ্ন জায়গা জুড়ে রোপণ করা আছে বিভিন্ন প্রকারের ফুলের গাছ। বিদ্যালয়েল উত্তর ও দক্ষিণের প্রাচীর ঘেষে রয়েছে আম, জামসহ বিভিন্ন বৃক্ষরাজি। সর্বোপরী বিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন, ছায়া-সুনীবিড় , শামিত্মর নীড়।
মোট ছাত্র -ছাত্রীর সংখ্যা | ১২৯৪ জন
| |||||||||
শ্রেণী ভিত্তিক ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা | ১ম | ২য় | ৩য় | ৪র্থ | ৫ম | ৬ষ্ঠ | ৭ম | ৮ম | ৯ম | ১০ম |
৭৭ | ৮৯ | ৯৪ | ১১২ | ১১৫ | ২০৫ | ১৭৪ | ১৪৭ |
১৫০
| ১৩১ |
বর্তমানে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি নিয়মিত ও নির্বাচিত। সদস্য সংখ্যা মোট ১১ (এগার) জন, চেয়ারম্যান ০১জন, শিক্ষক প্রতিনিধি ০৩ জন, অভিভাবক প্রতিনিধি ০৪ জন, সংরক্ষিত মহিলা আসন ০১ জন, কো-অপ্ট ০১জন, পদাধিকার বলে প্রধান শিক্ষক / সম্পাদক ০১জন।
পাশের হার | পিএসসি | জেএসসি |
এসএসসি
| ||||||
২০০৯ | ২০১০ | ২০১১ | ২০০৯ | ২০১০ | ২০১১ | ২০০৯ | ২০১০ | ২০১১ | |
৯৮% | ৯৯% | ৯৯% | ... | ১০০%
| ১০০% | ১০০% | ১০০% | ১০০% |
প্রাথমিক বৃত্তি | জুনিয়র বৃত্তি | মাধ্যমিক বৃত্তি | ||||||
২০০৯ | ২০১০ | ২০১১ | ২০০৯ | ২০১০ | ২০১১ | ২০০৯ | ২০১০ | ২০১১ |
০৩ জন | ০২ জন | .. | .. | ০২ জন | .. | .. | ০১ জন | .. |
জিপিএ-৫ বৃদ্ধি সহ ১০০% পাশ।
সকল পরীক্ষার্থীকে জিপিএ-৫ উন্নীত করে ঢাকা শহরের সেরা বিদ্যালয়ে পরিণত করা।
rekghs@yahoo.com.
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস