প্রতিষ্ঠানের নাম: শেরে বাংলা নগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা-১২০৭
বর্ণনা:শেরে বাংলা নগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ঢাকার একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,বিদ্যালয় ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, বিদ্যালয়টি একটি সুশীতল প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত। এর চারপাশ অসংখ্য উচ্চ গাছ গাছালি দ্বারা বেষ্ঠিত এবং সীমানা প্রাচীরের মধ্যে আছে একটি বৃহৎ খেলার মাঠ ও একটি পুকুর।
বিদ্যালয়ের ভবন সংখ্যা দুইটি, অফিস কক্ষ পাঁচটি , শিক্ষক মিলনায়তন একটি, শ্রেনিকক্ষ ৪৫টি, লাইব্রেরি একটি, কম্পিউটার কক্ষ একটি, মাল্টিমিডিয়া কক্ষ একটি, কমনরুম (ছাত্রদের) একটি, বিজ্ঞানাগার পাঁচটি, নামাজের ঘর একটি, বি.এন.সি.সি কক্ষ একটি, স্কাউট কক্ষ একটি, ক্যান্টিন একটি, প্রধান শিক্ষকের বাসভবন একটি।
এক সময়কার আউয়ুব নগর, এখনকার শেরে বাংলা নগর।১৯৬৯ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার সেন্ট্রাল গভঃ এমপ্লয়ি পোষ্যদের শিক্ষার সুবিধার্থে সেন্ট্রাল গভঃ বয়েজ হাই স্কুল নামে ঢাকার আইয়ুব নগরে এ সরকারি বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করে। পাঠদান করা হতো ৬ষ্ঠ – ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত। ১৯৭১ সালের রক্তঝরা যুদ্ধের পর এলাকাটির নামকরণ করা হয় শের-ই-বাংলা নগর। সেই সাথে বিদ্যালয়ের নামে আসে পরিবতন, রাখা হয় শেরে বাংলা নগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ।পাঠদান শুরু হয় ১ম – ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত। বিদ্যালয়টির প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শাখার জন্য ছিল আলাদা ক্যাম্পাস। প্রাথমিক শাখার ক্যাম্পাসটি নির্বাচন কমিশন ও শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যখানে এক মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত। মাধ্যমিক শাখাটি আগারগাঁও বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন যার গা ঘেঁষে উত্তরে আইডিবি ও বন ভবন, পম্চিমে এলজিইডি অফিস ও পাসপোট ভবন, পূব পাশে তেজগাঁও বিমান বন্দর এবং দক্ষিণে শ্যামলী আগারগাঁও রোড। মাধ্যমিক শাখাটি গাছগাছালিতে পরিপূণ এবং এর সীমানা প্রাচীরের মধ্যে আছে একটি বড় খেলার মাঠ ও একটি বৃহদাকার জলাশয়।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, ২নং ভবনটি ( প্রাথমিক শাখা) মূল ভবন থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিধায় এখানকার প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় কিছুটা অসুবিধা হতো। এ প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে উক্ত ভবনের শিক্ষা কার্যক্রম মূল ভবনে স্থানান্তর করে উক্ত ভবনটি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের জোনাল অফিস হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করা হয়।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিদ্যালয়টিকে এক শিফটে শিক্ষা কাযক্রম চলছিল।১৯৮০ সালে এর সাথে সংযোজিত হয় প্রভাতি শাখা। একজন সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ ২৫ জন সহকারী শিক্ষকের দ্বারা প্রভাতি শাখা পরিচালিত হচ্ছে। উভয় শিফটের দায়িত্বে আছেন একজন প্রধান শিক্ষক ।
২০০৮ শিক্ষাবর্ষে এ বিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত হয় একাদশ শ্রেণি (কলেজ শাখা) বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীরা এখানে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে।তা সত্ত্বেও বিদ্যালয়ের কমকর্তা, শিক্ষকগণ, কর্মচারী তথা সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় একাদশ-দ্বাদশ শাখার শিক্ষা কার্যক্রম সুচারুভাবে চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
প্রযোজ্য নয়
বিগত ৩ বছরের বিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফলাফল
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল
পরীক্ষার সন | মোট পরীক্ষার্থী | জি.পি.এ-৫ | মোট কৃতকায | পাশের হার |
2011 | 234 জন | 103 জন | 233 জন | 99.57% |
2012 | 219 জন | 162 জন | 219 জন | 100% |
2013 | 231 জন | 220 জন | 231 জন | 100% |
জে.এস.সি পরীক্ষার ফলাফল
পরীক্ষার সন | মোট পরীক্ষার্থী | জি.পি.এ-৫ | মোট কৃতকায | পাশের হার |
2011 | 221জন | 44জন | 217জন | 98.19% |
2012 | 235জন | 37জন | 233জন | 99.15% |
2013 | 235জন | ১37জন | 235জন | 100% |
এস.এস.সি পরীক্ষার ফলাফল
পরীক্ষার সন | মোট পরীক্ষার্থী | জি.পি.এ-৫ | মোট কৃতকায | পাশের হার |
2011 | 207জন | 94জন | 205জন | 99.06% |
2012 | 205জন | 114জন | 201জন | 98.05% |
2013 | 240জন | 6৫জন | 236জন | 98.33% |
এইচ.এস.সি পরীক্ষার ফলাফল
পরীক্ষার সন | মোট পরীক্ষার্থী | পাশের হার |
2011 | 119 জন | 78.15% |
2012 | 89জন | 80.89% |
2013 | ৯১জন | ৮৪% |
বিদ্যালয়ের শ্রেণি শিক্ষাদান পদ্ধতি খু্বই উন্নত ও বিজ্ঞানভিত্তিক, অভিজ্ঞ, উচ্চ শিক্ষিত ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক - শিক্ষিকাবৃন্দ দ্বারা ছাত্রদের পাঠদান করা হয়। আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ বিজ্ঞানাগারে অভিজ্ঞ বিজ্ঞান শিক্ষক দ্বারা ব্যবহারিক ক্লাস পরিচালিত হয়। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ, নৈতিকতাবোধ শিক্ষা, সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদ্যালয়ে রয়েছে একটি সুসমৃদ্ধ লাইব্রেরি।
আজকের শিক্ষার্থীরা যেন আগামীদিনে দেশের সর্বস্তরে তাদের দক্ষতা প্রদশন করতে পারে এজন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি তাদেরকে সহ-পাঠক্রমিক কার্যাবলীতে উৎসাহিত করা হয়।
বছরের শুরুতেই বিদ্যালয় আয়োজন করে বার্ষিক মিলাদ মাহফিলের।শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্বেরাত, হামদ, নাত, আযান ও রচনা প্রতিযোগিতা হয়।প্রতিবছর ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ছাত্রদের ক্রীড়া নৈপুন্য প্রদরশনের সুযোগ দেয়া হয়। বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ী প্রতিযোগীদের পুরস্কৃত করা হয়। বিভিন্ন শ্রেনিতে মেধাভিত্তিক পুরস্কার দেয়া হয় বার্ষিক পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে। এছাড়া উপস্থিতি ও সদাচরনের উপর পুরস্কার দেয়া হয়। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী, জে. এস . সি, এস,এস,সি ও এইচ,এস,সি পরীক্ষায় জি,পি,এ-৫ পায় তাদেরকে পুরস্কার দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও বছরের বিভিন্ন সময়ে ছাত্রদের চিত্রাঙ্কন, সুন্দর হাতের লেখা ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় । বিদ্যালয় প্রতিবছর এস,এস,সি পরীক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা সফরের আয়োজন করে।
ছাত্রদের নৈতিক চরিত্র গঠন, সামরিক শিক্ষাদান ও দক্ষতা অজন, বিপর্যয়ে স্বেচ্ছাসেবী তৈরি করা, দ্বিতীয় সারির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিত্ব গঠন করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক দ্বারা এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়।বয়স্কাউট ছাত্ররা বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছা সেবকের দায়িত্ব পালন করে।
প্রতি বছর স্কৃল থেকে উল্লেখ যোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়ে থাকে ।
পাবলিক পরীক্ষায় পাশের হার বৃদ্ধি।
প্রতিবছর জে,এস,সি ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় বৃত্তি লাভ।
বি.এন.সি.সি দলের সাফল্যঃ
২০১২ সালে ক্যাপসুল প্রশিক্ষণে ভলিবল খেলায় ১ম স্থান ।
২০১৩ সালে বার্ষিক প্রশিক্ষণে ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান।
২০১৩ সালে বার্ষিক প্রশিক্ষণে দাবা খেলায় ১ম স্থান
২০১৩ সালে ক্যাপসুল প্রশিক্ষণে ড্রিল প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান
আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা ও শিক্ষার উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে যা জাতির সৃজনশীলতা ও প্রাণশক্তিতে সঞ্চার করেছে নব উদ্দীপনার । এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে শিক্ষার মান উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, নতুন শিক্ষানীতির আলোকে শিক্ষাকার্যক্রম চালানো। সকল পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে আমাদের লক্ষ্য শতভাগ সাফল্য ও বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানো। শিক্ষার মান উন্নয়নে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের মনিটরিং জোরদার করা। শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীর মূল্যবোধ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। সুনিয়ন্ত্রিত জীবনবোধ ও সুশৃঙ্খল সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রয়াস থেকে বয়স্কাউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আধুনিক শিক্ষাপ্রযুক্তির সহায়ক হিসাবে রয়েছে কম্পিউটার ল্যাব। ফলাফল তৈরী হচ্ছে সফটওয়্যারের মাধ্যমে। সপ্তাহে একদিন করে প্রত্যেক ক্লাশের ছাত্রদের কম্পিউটার ল্যাব ও লাইব্রেরী যাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক,
শেরে বাংলা নগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা-১২০৭
ফোন নংঃ ০২৮১৪৩১৩০
ই-মেইলঃ sbsdhaka1207@yahoo.com
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস